অজ্ঞাতনামা তরুনীর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করলেন গোদাগাড়ী থানা পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
২৭-০৩-২০২৪ ০৯:৪৬:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৩-২০২৪ ১০:০৯:১২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রা জশাহীর গোদাগাড়ীতে অজ্ঞাতনামা তরুনীর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ ।
জানা যায় আজ ২৭ মার্চ বুধবার সকাল ০৯:০০ ঘাটিকার সময় গোদাগাড়ী থানা পুলিশ সংবাদ পাই গোগ্রাম ইউনিয়ন এর মোঃ মুরসালিন পিয়াস (২৭) পিতা-মোঃ নুর, সাং-গোগ্রাম এর নির্মাণাধীন ভবনের দুইতলা ভবনের বাথরুমের ভিতরে একটি অজ্ঞাতনামা মেয়ের লাশ পড়ে আছে।
উক্ত সংবাদ ভিত্তিতে ওসি গোদাগাড়ী জনাব আব্দুল মতিন বিষয়টি জনাব মোঃ সাইফুর রহমান, পিপিএম (বার) পুলিশ সুপার, রাজশাহী মহোদয়কে অবহিত করে এবং পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় মোঃ সোহেল রানা পিপিএম-সেবা, সহকারী পুলিশ সুপার, গোদাগাড়ী সার্কেল, অফিসার ইনচার্জ গোদাগাড়ী মডেল থানা এবং আইসি প্রেমতলীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করে। উপস্থিত অফিসারের সাহায্যে ভিকটিমের সুরতহাল প্রস্তুতের ব্যবস্থা করে।
ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকালে তার শরীরের পেট ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় ঘটনা সংক্রান্তে লাশের আশপাশে আলামত খোঁজার চেষ্টাকালে ভিকটিমের হাতে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ভিকটিম এর পরিচয় উন্মোচন করে পুলিশ।
ভিকটিমের নাম সন্ধ্যা রানী (২০), পিতা শ্রী হরিলাল, সাং শীশা বাঁশপীর, থানা- সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ভিকটিম রাজশাহী মহানগরের কর্ণহার থানায় তার সৎ ভাই শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), পিতা-হরি লাল, গ্রাম-শশিবাজার, থানা-সুন্দরুাঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা এর বাসায় থাকতো।
তাদের বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে সৎ ভাই ও ভাবীর সাথে ভিকটিম এর ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ভিকটিম এর সৎ ভাই শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২) তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ৯.০০ ঘটিকার পরে যে কোন সময় ভিকটিমকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়ে ভিকটিম এর সৎভাই তার বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯) এর সহযোগীতায় ভিকটিমকে অচেতনকরে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে এবং নির্মাণাধীন ভবনের দুইতলায় নিয়ে যেয়ে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড ভিকটিমের সৎভাই আসামী ১। শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), পিতা- হরি লাল, গ্রাম-শশিবাজার, থানা-সুন্দরগঞ্জ জেলা-গাইবান্ধা ও ২। আদিল আহমেদ পলক (১৯), পিতাঃ মোঃ আওয়াল হোসেন, গ্রাম- লালপুকুর, থানা-গোদাগাড়ী জেলা-রাজশাহীদ্বকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
দুই নম্বর আসামী আদিল আহমেদ পলক এর দেখানো মতে আলামত হিসেবে উক্ত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আসামীদ্বয় এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত আছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আব্দুল মতিন জানান আমরা সংবাদ পায় গোগ্রাম ইউনিয়ন এলাকায় একটি নির্মাণাধীন দুইতলা ভবনে বাথরুমের ভিতরে একটি অজ্ঞাতনামা মেয়ের লাশ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ সুপার, রাজশাহী মহোদয় ও গোদাগাড়ী সার্কেল মহাদয়কে অবহিত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং
হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi
কমেন্ট বক্স